মোঃ তাহেরুল ইসলাম,ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী ডোমারে প্রতিবছরই শীতকালে পিঠা তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় হরেক রকমের পিঠা বানানোর।

কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। ভিন্ন স্বাদে ঝাল ঝাল ডিম চিতই খেজুরের গুড়ের সেমাই পিঠা তৈরির রেসিপি।অপরদিকে, অতিথি আপ্যায়নে বিশেষ করে জামাইদের দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো হয়। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সু-বাতাস।কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায় ভিন্নতা। রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। পিঠা তৈরি করে সংসার চালাতে হয় অনেকেরই। দরিদ্রতার কারণে পিঠা বিক্রি করে পরিবারে অর্থ যোগান দিয়ে থাকে। অসচ্ছল পরিবারের মাঝে কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতা আনার জন্য ফুটপাতে পিঠা তৈরি করছে।আবার, সংসারে অর্থ উপার্জনের কেউ না থাকায় পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেক মহিলা ।

ডায়মন মার্কেটের সামনে রেল লাইনের উপরে মোঃ রুস্তম আলী পিঠা বিক্রি করে সংসার চালায়।এ রকম দৃশ্য চোখে পড়ে ডোমারে সাহাপাড়া সড়কে ও আন্ধার মোড়, উপজেলার মোড়, রেলস্টেশনের পাশে। এদের বেশিরভাগই শীত আসলে পিঠার দোকান নিয়ে রাস্তার পাশে বসে পড়ে। পুরো শীত পর্যন্ত চলে এ ব্যবসা। একেক ধরনের পিঠার দাম একেক রকম। সাধারণ চিতই পিঠা ৫ টাকা, নকশি পিঠা ১০ টাকা,ভাপা পিঠা ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।তবে চিতই পিঠা বিক্রি হয় হরেক রকমের ভর্তা দিয়ে। শুটকি, মরিচের, ধনে পাতার ভর্তা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই পিঠা।গ্রামাঞ্চলে শীতের পিঠা তৈরিকে যেমন উত্সব হিসেবে গণ্য করা হয় সে তুলনায় শহরে খুব কমই চোখে পড়ে পিঠা-পুলির বাহার।ডোমারে প্রায় প্রতিটি রাস্তার পাশেই চোখে পড়ে অস্থায়ী পিঠার দোকান। বেশির ভাগ শীতকালেই এসব দোকান বসে থাকে। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে শীত মৌসুমে এই সব দোকান বসে। কিছুটা হলেও পরিবারে আর্থিক সহায়তা করা সম্ভব হয়।